কুরআনের আলো
কুরআনের আলো
পড়! তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃস্টি করেছেন। সুরা আলাক
ইসলামে পড়া বা পাঠের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। পড়া ছাড়া বিকল্প নেই, নবীয়ে আরাবি সা. এর উপর মহান আল্লাহর প্রথম আদেশ ছিল হে নবী আপনি পড়ুন! আপনার রবের নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। কুরআনের প্রথম শব্দ ই হল “পড়” সুতরাং মানব জাতির কল্যান পড়ার মধ্যেই নিহিত । হাদিসের মধ্যে নবী সা. বলেন প্রত্যেক নারী-পুরুষের উপর ইলমেদ্বীন শিক্ষা গ্রহন করা ফরজ ( Necessary)।
আমি ১৯৯৯ সন থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা করি, এর আগে স্কুলে পরাশোনা করেছি। মাদরাসায় পরাশোনা চলাকালীন আমার ইচ্ছে ছিল আমাদের এলাকায় একটি কুরআন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। তখন দক্ষিণ ধল্লা এলাকায় একটি মসজিদ ছিল। এর পর একে একে আরো চারটি মসজিদ হয়, এখন পাঁচ টি। কোন মাদরাসা ছিল না। ২০১০ইং সাল থেকে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম, বয়স অল্প হওয়ায় মহল্লাবাসীকে মাদরাসার প্রয়োজনিয়তা বুঝাতে সক্ষম হইনি। ২০১৬ ইং সালে মাওলানা বশির উদ্দিন সাহেব তৎকালীন দক্ষিণ ধল্লা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে সাথে নিয়ে কুরআন শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার আপ্রান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এর পর ১০১৭ সালে তৎকালীন খতিব মুফতি সোলাইমান সাহেব ও মুফতি আল আমিন সাহেবকে সাথে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত ছোট আকারে কুরআন শিক্ষার নুরানি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি, ২০১৯ইং সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। আলহামদুলিল্লাহ এই ছোট প্রতিষ্ঠান টি গত পাঁচ বছরে দুই শতাধিক ছেলে- মেয়েদেরকে কুরআনের পাঠ সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে।
২০১৭ সালের আগে আমাদের জরিপ অনুযায়ী অল্প কিছু ছেলে-মেয়ে কুরআন শিক্ষার সাথে জরিত ছিল। এখন এলাকার মাদরাসা গুলোতে চার শতাধিক ছেলে মেয়ে পরাশোনা করে। দুই শতাধিক ছেলেমেয়ে আশেপাশের এলাকাগুলোতে গিয়ে পরাশোনা করে।
আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর শোকর আমাদের দীর্ঘ দিন প্রচেষ্টার ফলে কুরআনের আলো খুবই দ্রত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের এ ছোট মহল্লায়। আলহামদুলিল্লাহ এখন তিন টি স্হায়ী কুরআন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে, তবে সবচেয়ে আশার কথা হল এবার আমাদের স্কুল থেকেও ছেলে -মেয়েরা কুরআন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। আজকে স্কুলের ছেলে- মেয়েদের কুরআন হাতে নেওয়া দেখে আনন্দিত হয়েছি এবং তাদের জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহ তায়ালা কুরআনের সকল স্তরের খাদেমদেরকে কবুল করুন।
এখন আমাদের উচিত এই কুরআন শিক্ষার কার্যক্রমগুলো সাসটেইনেবিলিটির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আরিফুল ইসলাম
মসজিদে নববী,মদিনা, সৌদি আরব
বাদ আছর, সোমবার
০৭/১০/২০২৪ইং